বাংলাদেশ রেলওয়ে অস্থায়ী পদে দক্ষ কর্মরতদের বাদ দিয়ে ঠিকাদারের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ বাতিল ও আউটসোর্সিংয়ের নামের কালো আইন বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ রেলওয়ে লালমনিরহাট অস্থায়ী কর্মরত কর্মচারূবৃন্দ বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজারের কার্যালয়ের সামনে লালমনিরহাট বিভাগীয় রেলওয়ে অস্থায়ী কর্মরত কর্মচারীদের ডাকে সমাবেশে বক্তারা বক্তব্য ও স্মারকলিপির মাধ্যমে অত্র বিভাগের অধীন অস্থায়ী রেলওয়ে কর্মচারীরা (টিএলআর) ৫দফা দাবী তুলে ধরে বলেন।
আউটসোর্সিংয়ের নামে ঠিকাদারের মাধ্যমে শ্রমিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। রেলওয়ের বিধান মতে ৩বছরের উপর চাকরী হলে তা জাতীয়করণ করতে হবে। অস্থায়ী কর্মচারীদের ৩টি উৎসব ভাতা প্রদান করতে হবে। নিয়োগ বিধি ২০২২ সংশোধন না করেই ২টি পদে নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। কথায় কথায় চাকরীচ্যুত করা যাবে না। সমাবেশ শেষে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজারকে অস্থায়ী কর্মচারীরা স্মারকলিপি প্রদান করেন।
ওই সময় আন্দোলন ও বিক্ষোভ সমাবেশ সমর্থন দিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওমর ফারুক, রেলওয়ে শ্রমিক লীগ লালমনিরহাট শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল মান্নান, টিএলআর কর্মচারী আবু মুসা, আতিকুর রহমান প্রমুখ। এ সময় প্রায় ২শতাধিক টিএলআর কর্মরত কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা কান্না জর্জরিত কন্ঠে বলেন, আমরা কয়েক শত অস্থায়ী রেল কর্মচারীরা হঠাৎ শুনে হতবাক হলাম যে আমাদের চাকুরী থেকে বাদ দিয়ে আউট সোর্সিং ঠিকাদারের মাধ্যমে লোক নিবে। আমাদের জানা মতে এ ভাবে লোক নিয়োগ রেলওয়ে এর বিধানে নেই, ওই বিধান মতে গেইট কিপার, খালাসী, টলিম্যান, চকিদার, পোটার পদে লোক নিয়োগ রেলওয়ে বিধান পরিপন্থী। বিধান ভঙ্গ করে রেলওয়ে লোক নিলে তা পরিপন্থী হবে। তবে আমাদের দীর্ঘ বিশ্বাস আমাদের দিকে একটু সু-নজর দিয়ে আউট সোর্সিং এর সিদ্ধান্ত বাতিল ভাবে দায়িত্ব পালন করবো। করে আমরা যারা কর্মরত রয়েছি তাদের চাকুরী জাতীয়করন করলে আমরা আরও ভালো।